ঘুর্নিঝড় 'ফণীর' প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার বেশ কয়েটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে

ঘুর্নিঝড় 'ফণীর' প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার বেশ কয়েটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে

আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী: অতিপ্রবল বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র অবস্থান এখন উপকূলের খুব কাছাকাছি।বিগত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী গতিবেগ ঝড় এই ফনি এরই মধ্যে ভারতের উড়িশায় আঘাত হেনেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। প্রবল শক্তি নিয়ে আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই রাজ্যের পুরী উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি।আর এর পরই আঘাত হানে আরেক সৈকত শহর গোপালপুরে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উড়িষ্যায় আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। এই শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় পুরী ও গোপালপুরজুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনি শুক্রবার সকালের ভারতের উড়িষ্যায় গোপালপুরে আঘাত হানার পর সেটি দেশটির উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতিক্রম করা শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যটিতে ৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর ওডিসাসানটাইমস। এদিকে, শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় ‘ফণী’-র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনায় ঝড়ো হাওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা। শুক্রবার (৩ মে) সকালে জোয়ারের পানির তোড়ে জেলার আন্ধারমানিক নদীর বন্যা রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গেলে এসব গ্রাম প্লাবিত হয়। এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর রহমানের বরাত দিয়ে আমাদের পটুয়াখালী সংবাদদাতা জানান, জোয়ারের পানিতে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের আটটি গ্রাম এবং ধুলাশাল ইউনিয়নের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইউএনও আরও জানান, গ্রামগুলোর অন্তত ৯৫০ জনকে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ইউএনও আব্দুল্লাহ আল জাকি জানান, জোয়ারের কারণে পায়রা নদীর পানি উপজেলার মেহেন্দিগঞ্জ গ্রামে প্রবেশ করলে সেখান থেকে অন্তত ২,৫০০ মানুষকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।